লাহিড়ীতে মরা গাছ যেন মরণ ফাঁদ

|

মোঃ সাইফুল ইসলাম বালিয়াডাঙ্গী ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি,

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মহাসড়কে ও মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে একটি শতবর্ষী মরা আম গাছ। মসজিদটি ও ঐতিহ্যবাহী লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় উপজেলার প্রধান সড়ক সংলগ্ন হওয়ায় শুধু মুসল্লীরা নয়, মরা গাছটি নিয়ে আতঙ্কে আছে এলাকার সাধারণ মানুষও স্কুলের শিক্ষার্থীরা । যে কোন সময়ে ভারী যানবাহন চলাচলে মারাত্মক দূর্ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে। এতে পথচারী ও যানচালকদের দূর্ঘটনার আশংকা নিয়েই প্রতি নিয়তই চলাচল করতে হচ্ছে। মরা গাছটি এখন এলাকার সকলের জন্য একটি মরণ ফাঁদ। বিষয়টি এলাকার সাধারণ মানুষের ভাবনার বিষয় হলেও দেখার যেন কেও নেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মরা আম গাছটি। মরা গাছের ডাল পালা গুলি পোকামাকড় খেয়ে এবং রোদ-বৃষ্টির কারনে নরম হয়ে আস্তে আস্তে ভেঙ্গে পরছে। যে কোন সময় সামান্য ঝড় ও বাতাসেই মরা আম গাছটি সড়কে ও মসজিদের সামনে ভেঙ্গে পড়ে মারাত্মক দূর্ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে।

উপজেলার, ঐতিহ্যবাহী লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও মসজিদের মুসল্লীসহ হাজার হাজার পথচারী, মোটরসাইকেল, ভারীমালবাহী ট্রাক, অটোরিকশা, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চালকদের দূর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়েই চলাচল করতে হয় প্রতিনিয়ত।মসজিদের মুসল্লী ও স্থানীয়রা ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছটি কেটে অপসারনের দাবি জানালেও এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে মসজিদের নিয়মিত মুসল্লীরা বলেন, মসজিদের উপর সামনে শুকানো গাছটি প্রায় অনেক দিন যাবৎ এমন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। গত কিছুদিন পুর্বে গাছের একটি শুকনো বড় ডাল মসজিদের সামনে সড়ক এর উপর পড়ে যায়। এ গাছটি দ্রুত অপসারণ না করা হলে, যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন মুসল্লী বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই গাছ ব্যাপারে একাধিকবার জানানো পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এ সম্পর্কে ভ্যান চালক মাসুদ রানা বলেন, গাছের মধ্য দিয়ে কত রকম তার গেছে। শুঁকে গাছটি দুর্বল হয়ে আছে, যে কোনো সময় গাছ ভেঙ্গে মসজিদের সামনে ও রাস্তার উপর পড়ে সমস্ত এলাকা কারেন্ট হয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের সামনে মসজিদের কাছে এমন মরা গাছ থাকায় আমি হতাশ ।

এ ব্যাপারে লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করবো। মরা গাছটি অবসারণের জন্য তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। মরা গাছটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে ঝুঁকিপূর্ণ গাছটি দ্রুত অপসরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

GBC News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *