চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য সহকারী পরীক্ষায়  অনুপস্থিতরাও উত্তীর্ণ 

|

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর অনিয়ম ও স্বচ্ছতা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও অনেক প্রার্থীর নাম উত্তীর্ণ তালিকায় এসেছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে।

রোববার (২২ জুন) চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ও জনবল নিয়োগ কমিটির সদস্যসচিব ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

এর আগে শুক্রবার (২০ জুন) সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সদর ও দামুড়হুদা উপজেলার ১৯টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে কেন্দ্র তালিকা প্রকাশে বিলম্ব, দুই দফায় কেন্দ্র পরিবর্তন, গভীর রাতে সিভিল সার্জন অফিস খোলা থাকা—এসব নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠেছিল। ফলাফল প্রকাশের পর তা আরও ঘনীভূত হয়েছে।

পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ফাতেমা খাতুন দোলন লিখেছেন, “আমার রোল ২৬৩। আমার সামনে-পেছনে কেউ ছিল না। অথচ ২৬২ রোলধারী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এটা কীভাবে সম্ভব?”

একইভাবে, প্রার্থী সার্থেয়া মল্লিক অভিযোগ করে বলেন, “চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ৫৩৫ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দিই। পাশের ৯৯০ নম্বর রোলধারী উপস্থিতই ছিলেন না, কিন্তু তাকেও উত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে।”

চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের ৩০২ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দেওয়া আয়েশা হুসাইন অভিযোগ করেন, “এক পরীক্ষক একজনকে উত্তর বলে দিচ্ছিলেন। প্রতিবাদ করলে কিছুক্ষণের জন্য থেমেছিলেন, কিন্তু পরে আবারও উত্তর বলে যেতে থাকেন। আমি হল পরিদর্শকের কাছে অভিযোগ করেছিলাম।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “পরীক্ষার আগের রাতে কেন সিভিল সার্জন অফিস রাত ২টা পর্যন্ত খোলা ছিল?”

এছাড়া, কেন্দ্র ও সিট দুবার পরিবর্তনের অভিযোগ করেছেন অনেক পরীক্ষার্থী। তাদের দাবি, এসএমএসে তথ্য দেওয়া হলেও বিভ্রান্তি তৈরি হয় এবং অনেকেই নির্ধারিত সময়ে সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেননি।

এ বিষয়ে জানতে সিভিল সার্জন ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্যসচিব ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য জানা যায়নি।

নিয়োগ পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে সাধারণ নাগরিক, চাকরিপ্রার্থী এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।

GBC News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *