গোয়াইনঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটি আউটসোর্সিংয়ে ধুঁকছে জনসেবা

|


ডাক্তার সংকটে ভুগছে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, স্থানীয়দের ক্ষোভ চরমে:

গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনসেবার অবস্থা এখন চরম দুর্দশায়। সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে হাসপাতালের একাংশ কর্মচারীর দায়িত্বহীনতা ও অনিয়মিত উপস্থিতি সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করছে। অভিযোগ উঠেছে, অনেক কর্মচারী নিয়মিত ডিউটি না করে বাইরের লোকজনকে টাকা দিয়ে নিজেদের পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করাচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, এভাবে নিয়োগবহির্ভূত ও অপ্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের দিয়ে সরকারি দায়িত্ব পালনের ফলে চিকিৎসা, ব্যবস্থাপনা এবং হাসপাতালের পরিবেশ সবই নাজুক হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রোগীদের জরুরি সেবায় বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের স্টাফদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগও প্রতিনিয়ত শোনা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে এক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলেন, “এই হাসপাতালের অনেক কর্মচারী ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকেন। অথচ বাইরে থেকে আনা লোক দিয়ে হাসপাতালে ডিউটি করানো হয় – এটা চরম দায়িত্বহীনতা। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে এলাকাবাসীকে নিয়ে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হব।”
চিকিৎসক সংকট প্রকট-
সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৫০ শয্যার এই উপজেলা হাসপাতালটিতে বর্তমানে মাত্র ৪ জন স্থায়ী মেডিকেল অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। ২১ পোস্টের বিপরীতে মাত্র ৪ জন চিকিৎসক থাকলেও এই সব চিকিৎসক সপ্তাহে ১/২ দিন নাম মাত্র দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মানদণ্ড অনুযায়ী, এ পরিমাণ শয্যার জন্য কমপক্ষে ৮ জন চিকিৎসক থাকা আবশ্যক। তবে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রেকর্ড বলছে, গত আট মাসে একাধিক ডাক্তার বদলি হলেও এখনো তাদের স্থলাভিষিক্ত কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
জনদাবি-
এ অবস্থায় গোয়াইনঘাটবাসী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতি তিন দফা দাবি জানিয়েছেন এলাকার চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষ –
অনিয়ম তদন্তে একটি মনিটরিং টিম প্রেরণ,
ডিউটি ফাঁকি দেওয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও দ্রুত বদলি,
অবিলম্বে অতিরিক্ত ৪ জন চিকিৎসক নিয়োগ।

এ নিয়ে স্থানীয়রা স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. মোসাম্মৎ নুরজাহান বেগমের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিলাল উদ্দিন, ক্রাইম রিপোর্টার, গোয়াইনঘাট।

GBC News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *