
রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা এই রথ মেলাকে ঘিরে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। দোকানিদের অভিযোগ ব্যবসার উপর নির্ভর করে ‘সাপ্তাহিক চুক্তি’তে অর্থ দিয়ে থাকেন, যার পরিমাণ ৫,০০০ থেকে ৬,৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এক দোকানি জানান, “এবার এখনও চাঁদার নির্দিষ্ট অঙ্ক বলা হয়নি, তবে আগের মতোই টাকা দিতে হবে—না হলে দোকান বসানো যাবে না।” তিনি আরও দাবি করেন, “আমরা পাঁচটি দোকানের জন্য প্রায় ২৫ হাজার টাকা দিতে হয়”।
আরেক দোকানি বলেন, “আমি এবার বাদশা ভাইয়ের সাথে ফোনে কথা বলে এখানে দোকান দিয়েছি। প্রতিবার ৫,০০০ টাকা করে দিই, এবার ৫,৫০০ টাকা নেবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও ছোট দোকানগুলোও বাদ পড়ে না, তাদের ১,০০০ থেকে ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়।”
অভিযোগে প্রভাবশালী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের জড়িত থাকার কথা উঠে এসেছে। জানা গেছে, আগামী কাউন্সিলর নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধার পুত্র জাবেদ। দোকানদার ও স্থানীয়রা দাবি করছেন, এই চাঁদা আদায়ের বিষয়টি জাবেদ ও তার বড় ভাই বাদশা দেখভাল করছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাদশার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে জাবেদ অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, “এর সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে। সামনা-সামনি বসে কথা বললে ভালো হয়।”
এলাকাবাসীর একাংশ দাবি করছেন, প্রতি বছরই এভাবে রথ মেলা উপলক্ষে চাঁদা আদায় চলে, যা মূলত একটি অঘোষিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে চাপে পড়েন এবং অনেকে দোকান দিতে পারছেন না।
ভুক্তভোগী দোকানিরা ও স্থানীয়রা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তদন্তের মাধ্যমে এই চাঁদা আদায়ের প্রকৃত চিত্র উন্মোচন এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ দেইনি আমাদের টহল টিম সর্বাক্ষন সেখানে আছে। যেহেতু আপনি বিষয়টি আমাকে অবগত করলেন আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।